আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf download


Loading...


Table of Contents

নাম:- আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf  download 

আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf  লেখক:- জাফর ইকবাল। 

পৃষ্ঠা:- ১৮০। 

আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf download সাইজ:- ১২ এম্বি৷ 

বইয়ের প্রথম অংশ আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf  :-    

জেনারেটর ঘুরাবে মােটরকে
১৫ই শক্তিকে ব্যবহার করলেই তার খানিকটা অপচয়।
আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf download এর বিজ্ঞান এবং অপ-বিজ্ঞান:- 

কিছুদিন আগে আমার কাছে একটা ছােট ছেলে এসেছে, সে মুখ কাঁচুমাচু করে বলল তার মাথায় একটা বৈজ্ঞানিক আইডিয়া এসেছে সেটা সে আমাকে বলতে চায়। ছেলেটি মুখ খােলার আগেই আমি বুঝে গেলাম “আইডিয়াটি কী—কারণ আমি যখন তার বয়সী ছিলাম তখন আমার মাথাতেও এরকম “বৈজ্ঞানিক আইডিয়া”।

একটা জেনারেটর আর একটা মােটর এভাবে চলতেই থাকবে। থেকে অনেক কম শক্তি ফেরত পাওয়া যায়, সেজন্যে কখনােই “অফুরন্ত শক্তি” বা “চির ঘূর্ণায়মান যন্ত্র তৈরি করা যায় না। আমি ছােট ছেলেটাকে তার মতাে করে বিষয়টা বুঝিয়ে দিলাম, সে ব্যাপারটা বুঝে খুশি হয়ে ফিরে গেল। আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf download link !

মজার ব্যাপার হচ্ছে বড়রা ব্যাপারটা বুঝতে চায় না! একবার একজন বয়স্ক মানুষ এসে আমাকে একই ধরনের একটা “চির ঘূর্ণায়মান যন্ত্রের কথা বলল। আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম কেন এটা কাজ করবে না কিন্তু সে বুঝতে রাজি হলাে না। তার ধারণা আমি একটু সাহায্য করলেই সে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী হয়ে কোটি কোটি টাকা চির-ঘূর্ণায়মান একটি যন্ত্র তৈরি করে কামাই করতে থাকবে—আমি হিংসা করে তাকে মানুষজনকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল পুরে দেখা যায় সেটা সত্যি নয় নিরুৎসাহিত করছি!আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf 

বাধ্য হয়ে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে কী তার একটা যন্ত্রের মডেল তৈরি করতে পারবে?

মানুষটি বলল অবশ্যই পারবে, সেটা তৈরি করতে তার দরকার কয়েক ফিট প্লাস্টিকের নল, দুটো পানির বােতল আর কিছু পানি। আমি তাকে বললাম সে যদি তার মডেলটা তৈরি করে আনতে পারে তাহলে আমি তাকে একটা নােবেল পুরস্কার, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার, তার সাথে বিবিসি, সি, এন, এন-এ সাক্ষাৎকারের সবকিছু ব্যবস্থা করে দেব।  আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf download link!!!!

মানুষটি উত্তেজিত ভঙ্গিতে তখন তখনই বের হয়ে গেল দুই ঘণ্টার মাঝে সে মডেলটা তৈরি করে এনে আমাকে দেখাবে। দুই ঘণ্টার পর আরাে ছয় বছর পার হয়ে গেছে সেই মানুষটি তার নােবেল পুরস্কার পাওয়ার উপযােগী যন্ত্রের মডেল নিয়ে আর ফিরে আসেন নি। কী কী করা যায় না সেটা জানা থাকা ভালাে তাহলে সেটা করতে গিয়ে সময় নষ্ট হয় না। কোনাে কোণকে সমান তিন ভাগে ভাগ করা যায় না, পাঁচ ঘাত সমীকরণ সমাধান করা যায় না, ঠিক সে রকম শক্তি না দিয়ে শক্তি ফিরে পাওয়া যায় না।)

এই ব্যাপারগুলাে ঘটে বিজ্ঞান না জানার কারণে আমাদের খবরের কাগজ মাঝে মাঝে দায়িত্বহীন কাজ করে বসে থাকে। আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf / বিজ্ঞান জানা নেই তাই আজগুবি কিছু একটা দাবি করে কোনাে মানুষ একটা ঘােষণা দিয়ে বসে থাকে, খবরের কাগজ সেগুলাে ফলাও করে ছাপে, এই দেশে থাকার কারণে সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না বলে তারা সরকারকে গালাগাল করে। 

কিন্তু সবারই জানা থাকতে হবে কোনাে শক্তি না দিয়ে কখনাে শক্তি ফিরে পাবে না এবং বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ঘােষণা দিতে হয়। দিতে হয় না! থেকে শুরু করে একেবারে এই বর্তমানকাল পর্যন্ত অনেকেই কোনাে শক্তি না দিয়েই শক্তি পাবার জন্যে যন্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করে এসেছেন। শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ডায়েরিতেও এরকম যন্ত্রের ছবি রয়েছে—এই যন্ত্রগুলাের মাঝে একটা মিল রয়েছে। কেউ এগুলাে তৈরি করতে পারে না, ড্রয়িং হিসেবেই থেকে যায়।

“চির ঘূর্ণায়মান” অফুরন্ত শক্তির ইঞ্জিনের মডেল যে একেবারেই তৈরি হয় নি তা নয়। 1813 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চার্লস রেডহেফার নামে একজন মানুষ একটা যন্ত্র তৈরি করেছিল যেটা নিজে থেকেই ঘুরত। আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf / অনেক মানুষ সেটা পয়সা খরচ করে দেখতে এসেছিল এবং রেডহেফার সাহেব রীতিমতাে বড়লােক হয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত কিছু সন্দেহপ্রবণ মানুষ কাঠের কিছু তক্তা খুলে দেখতে পেলেন একাধিক পুলি ব্যবহার করে ছাদে বসে একটা বুড়াে মানুষ সেটা দর্শকদের জন্যে ঘুরিয়ে যাচ্ছে।

কেউ যেন মনে না করে পৃথিবীতে রেডহেফারের মতাে মানুষ খুব কমইতিহাস ঘাটলে এরকম অসংখ্য মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে। বৈজ্ঞানিক জুয়াচুরির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণটির নাম পিন্টডাউন মানব (Piltdown Man)। 1912 সালে চার্লস ডসন নামে একজন দাবি করলেন তিনি মানুষ আর বানরের মাঝখানে যােগসূত্রটি খুঁজে পেয়েছেন।

সেই ফসিলের প্রাণীটির ছিল মানুষের মতাে মস্তিষ্ক করােটি কিন্তু বানরের মতাে চোয়াল। মিউজিয়ামে সেই ফসিলটি চল্লিশ বছর মানুষের কৌতূহলকে নিবৃত্ত করেছে—1953 সালে বিজ্ঞানীরা ঘােষণা করলেন এটি পুরােপুরি জুয়াচুরি। বিভিন্ন প্রাণীর ফসিল দিয়ে এটাকে তৈরি করা হয়েছে। মাথাটি মানুষের, চোয়ালটি ওরাংওটানের, দাঁতগুলাে জলহস্তীর! এই জুয়াচুরিতে যারা অংশ নিয়েছিলেন তার মাঝে শার্লক হােমসের স্রষ্টা আর্থার কোনাল ডায়ালের নামও আছে।

এরকম আরেকটি আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf / বৈজ্ঞানিক জয়াচুরির নাম হচ্ছে কার্ডিফের দানব। 1869 সালে জর্জ, হাল একটা বিশাল জিপসাম খণ্ডের মাঝে প্রায় দশ ফুট লম্বা একটা মানুষের শরীর খােদাই করে সেটাকে প্রাচীন ফসিলের রূপ দিয়ে কার্ডিকে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখলেন। তারপর তার নিজের কিছু শ্রমিকদের ব্যবহার করে সেটাফে আবিষ্কার করার একটা নাটক করলেন। দশ ফুট লম্বা মানুষের পাথর হয়ে থাকা শরীর নিয়ে সারা পৃথিবীতে বিশাল হইচই। 

মানুষ টিকেট কিনে সেটা দেখতে যেত।

শেষ পর্যন্ত এ ধরনের জুয়াচুরি যে শুধু অতীতে ঘটেছে তা নয়—অতি সাম্প্রতিককালেও সেটা ঘটেছে। একটা বিখ্যাত উদাহরণ হচ্ছে ফিলিপাইনের সাড়ে সম্প্রদায়। 1971 সালে ফিলিপাইনের একজন মন্ত্রী তাদের একটা দ্বীপে এই সম্প্রদায়কে খুঁজে পেলেন যারা সেই প্রস্তর যুগ থেকে লােকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে আছে, সভ্য জগতের সাথে তাদের কোনাে সম্পর্ক নেই। তারা খুব শান্ত প্রকৃতির, গায়ে কোনাে কাপড় নেই, উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ায়। সারা পৃথিবীতে হইচই পড়ে গেল, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে তাদের উপর বিশাল নিবন্ধ ছাপা হলাে। আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf download..

আসলে পুরােটাই হলাে জুয়াচুরি। কিছু মানুষকে টাকা-পয়সা দিয়ে প্রস্তর যুগের মানুষ হিসেবে সাজিয়ে সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের ধোকা দেয়া হয়েছিল! ফিলিপাইনের সেই মন্ত্রী তাসাডে সম্প্রদায় রক্ষা কমিটি করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে প্রেসিডেন্ট মার্কোসের পতনের পর দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন।

একজন খুব সম্পদশালী মানুষ তার নিজেকে ক্লোন করেছে এরকম একটা খবর 1974 সালে আমি টাইম পত্রিকায় দেখেছিলাম। ডেভিড ররভিক নামে যে মানুষটি এই তথ্য পরিবেশন করেছিল কেউ তার কথা বিশ্বাস করে নি—তারপরেও সে এই জুয়াচুরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাই করে ফেলেছিল।

একেবারে খাটি বিজ্ঞানীরাও যে জুয়াচুরি করেন পৃথিবীর ইতিহাসে তার উদাহরণও আছে। সাউথ কোরিয়ার বিখ্যাত জীববিজ্ঞানী হােয়াং উসাক এরকম একজন মানুষ। সারা জীবনের পরিশ্রমে তিনি যেটুকু অর্জন করেছিলেন 1978 সালে তার পুরােটুকুই ধুলায় মিশে গেল যখন জানা গেল তার গবেষণার বড় অংশই হচ্ছে জালিয়াতি। তিনি গবেষণার যে টি ফলাফল প্রকাশ করেছিলেন তার ৩টির কোনাে অস্তিত্বই নেই, পুরােটাই বানানাে।

জিপসামে মানবদেহ ভুল গবেষণার ফলাফল শুধু খোদাই করে তৈরি করা হয়েছিল বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেন তা নয় সময় খাটি বিজ্ঞানীও সেটা নিজের অজান্তেই করে ফেলেন! এরকম একজন বিজ্ঞানীর নাম ব্লাস কাবেরা। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ম্যাগনেটিক মনােপােল নামে প্রকৃতির একটি রহস্যময় জিনিস খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 

প্রকৃতিতে যদি এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে পুরাে পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস অন্য রকম করে লিখতে হবে। অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীর ধারণা এটা আছে, শুধুমাত্র এখনাে খুঁজে পাওয়া যায় নি। তাই 1982 সালের 14 ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের ভালােবাসার দিনে যখন সেটা খুঁজে পাওয়া গেল তখন সারা পৃথিবীতে হইচই পড়ে গেল। বিজ্ঞানী ব্লাস কাবেরা রাতারাতি জগদ্বিখ্যাত হয়ে গেলেন, তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেল।

পৃথিবীর সব ল্যাবরেটরি তখন সেই ম্যাগনেটিকে মনােপােল খোঁজার কাজে লেগে গেল কিন্তু কেউ আর সেটা খুঁজে পেল না, ক্লাস কারাের সেই একমাত্র গবেষণার ফলাফলটিকে এখন একটা বৈজ্ঞানিক ভুল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf ….. 

তবে যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি হইচই হয়েছিল সেটার নাম কোল্ড ফিউসান। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে বড় বড় নিউক্লিয়াসকে ভেঙে ছােট টুকরা করে আসলে পুরােটাই হলাে জুয়াচুরি। কিছু মানুষকে টাকা-পয়সা দিয়ে প্রস্তর যুগের মানুষ হিসেবে সাজিয়ে সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের ধোকা দেয়া হয়েছিল! ফিলিপাইনের সেই মন্ত্রী তাসাডে সম্প্রদায় রক্ষা কমিটি করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে প্রেসিডেন্ট মার্কোসের পতনের পর দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন।

একজন খুব সম্পদশালী মানুষ তার নিজেকে ক্লোন করেছে এরকম একটা খবর 1974 সালে আমি টাইম পত্রিকায় দেখেছিলাম। ডেভিড ররভিক নামে যে মানুষটি এই তথ্য পরিবেশন করেছিল কেউ তার কথা বিশ্বাস করে নি—তারপরেও সে এই জুয়াচুরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাই করে ফেলেছিল।আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf …… 

একেবারে খাটি বিজ্ঞানীরাও যে জুয়াচুরি করেন পৃথিবীর ইতিহাসে তার উদাহরণও আছে।

সাউথ কোরিয়ার বিখ্যাত জীববিজ্ঞানী হােয়াং উসাক এরকম একজন মানুষ। সারা জীবনের পরিশ্রমে তিনি যেটুকু অর্জন করেছিলেন 1978 সালে তার পুরােটুকুই ধুলায় মিশে গেল যখন জানা গেল তার গবেষণার বড় অংশই হচ্ছে জালিয়াতি। তিনি গবেষণার যে টি ফলাফল প্রকাশ করেছিলেন তার ৩টির কোনাে অস্তিত্বই নেই, পুরােটাই বানানাে।

13 নং ছবি : জিপসামে মানবদেহ ভুল গবেষণার ফলাফল শুধু খোদাই করে তৈরি করা হয়েছিল বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেন তা নয় সময় খাটি বিজ্ঞানীও সেটা নিজের অজান্তেই করে ফেলেন! এরকম একজন বিজ্ঞানীর নাম ব্লাস কাবেরা। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ম্যাগনেটিক মনােপােল নামে প্রকৃতির একটি রহস্যময় জিনিস খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 

প্রকৃতিতে যদি এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে পুরাে পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস অন্য রকম করে লিখতে হবে। অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীর ধারণা এটা আছে, শুধুমাত্র এখনাে খুঁজে পাওয়া যায় নি। তাই 1982 সালের 14 ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের ভালােবাসার দিনে যখন সেটা খুঁজে পাওয়া গেল তখন সারা পৃথিবীতে হইচই পড়ে গেল। 

বিজ্ঞানী ব্লাস কাবেরা রাতারাতি জগদ্বিখ্যাত হয়ে গেলেন, তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেল। পৃথিবীর সব ল্যাবরেটরি তখন সেই ম্যাগনেটিকে মনােপােল খোঁজার কাজে লেগে গেল কিন্তু কেউ আর সেটা খুঁজে পেল না, ক্লাস কারাের সেই একমাত্র গবেষণার ফলাফলটিকে এখন একটা বৈজ্ঞানিক ভুল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf  ….. 

তবে যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি হইচই হয়েছিল সেটার নাম কোল্ড ফিউসান। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে বড় বড় নিউক্লিয়াসকে ভেঙে ছােট টুকরা করে শক্তি  বিভ্রান্ত করা। এর বাইরেও কিছু উদাহরণ আছে যেখানে রসিকতাপ্রিয় বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র তামাশা করার জন্যে জার্নালে গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছেন। এর মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাত ঘটনার নায়ক এলেন সােকাল নামে একজন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি শুধুমাত্র ঠাট্টা করার জন্যে গাল ভরা শব্দ দিয়ে ভরাট করে একটা পুরােপুরি অর্থহীন একটা পেপার লিখে প্রকাশ করার জন্যে সেটা ডিউক ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত একটা জার্নালে পাঠিয়ে দিলেন।

জার্নালের বড় বড় সম্পাদকরা সেটা ছাপিয়েও দিলেন—এলেন সােকাল তখন তার এই রসিকতাটুকু ফাঁস করে দিলেন। সারা পৃথিবীর শিক্ষাবিদরা তখন যে অট্টহাস্য করেছিলেন এখনাে সেটা শুনতে পাওয়া যায়। প্রায় একই ধরনের কাণ্ড করেছিল এম, আই. টি.-এর কিছু ছাত্র। তারা একটা কম্পিউটার প্রােগ্রাম লিখেছে যেটা বৈজ্ঞানিক পেপার লিখতে পারে। কিছু বৈজ্ঞানিক শব্দ ব্যবহার করে সেটি এমন কিছু লিখে ফেলতে পারে যেটা পুরােপুরি অর্থহীন কিন্তু দেখায় সত্যিকারের গবেষণা পেপারের মতাে। আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf  … 

সাইজেন (SCIGEN) নামে সেই প্রােগ্রামটি ব্যবহার করে তারা একটা পেপার লিখে তারা একটা কনফারেন্সে পাঠিয়ে দিলেন, সেখানে সেটা ছাপাও হয়ে গেল! ছাত্ররা যখন তাদের রসিকতাটুকু প্রকাশ করেছে তখন সেই কনফারেন্সের বড় বড় কর্মকর্তাদের মুখ দেখানাের উপায় নৈর মতাে এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা শুধু যে বিজ্ঞানীরাই ভুল-ভ্রান্তি করে তা নয়—তাদের অন্য এক ধরনের শত্রু আছ, সেটা হচ্ছে প্রচারলােভী কিছু মানুষ কিংবা প্রতিষ্ঠান। 

আমরা সবাই জানি পৃথিবীর মানুষ 1969 সালে চাঁদে গিয়েছিল। সেটা একই সাথে ছিল বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর মানুষের দুঃসাহসের একটা চমৎকার উদাহরণ। 2001 সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স টেলিভিশন হঠাৎ করে একটা বিশাল অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করল যেখানে তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করল পৃথিবীর মানুষ আসলে কখনােই চাঁদে যায় নি। পুরােটাই নাসার একটা ধাপ্পাবাজি।

এরকম উদ্ভট একটা ব্যাপার যে ঘটতে পারে সেটা অবিশ্বাস্য কিন্তু মজার ব্যাপার 1.6 নং ছবি : 2001 সালে ফক্স টেলিভিশন একটা অনুষ্ঠান করে দাবি করল মানুষ আসলে চাঁদে যায় নি। হলাে পৃথিবীর অনেক মানুষ সেটা বিশ্বাস করে ফেলল! ফক্স টেলিভিশনের সেই অনুষ্ঠানেই যেসব যুক্তি দেয়া হয়েছিল তার সবগুলােই হচ্ছে অত্যন্ত দুর্বল এবং খোঁড়া যুক্তি, অনুষ্ঠানটি……….. To be continued……. আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf  

তাই আর দেরী না করে আরো একটুখানি বিজ্ঞান pdf   বইটি ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড বাটন এ ক্লিক করুন।   

Download

বইয়ের রিভিউ দিতে (ক্লিক_করুন)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *