copy paste typing ফ্রিল্যান্সিং


Loading...


হ্যা, কপি পেস্ট টাইপিং এর ফ্রিল্যান্সিং আছে। যেমন কোনো পিকচার হতে কোনো ইনফরমেশন ওয়ার্ডে লিখা বা স্পেডশীটে লিখা। এই কাজটা ইদানিং অনেক বেশী চলতেছে।  কিন্তু ভাই এই কাজ করবেন আগে কিছু কথা শুনেন।

বেশীর ভাগ লোক ইউটিউবে বলে যে , মাসে ৫০০০ ডলার আয় করুন কপি পেস্ট টাইপিং করে।

আচ্ছা আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, একটা লোক কপি পেস্ট টাইপিং এর জন্য কেন আপনাকে  বেশী টাকা দিবে? এখন বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে নিউবি সবাই অপি পেস্ট টাইপিং কাজ ৫ ডলারে করে দিতে চায়। আর এই একটা কাজের জন্য প্রায় ৩০+ লোক আবেদন করে। অর্থাৎ বুঝতেছেন হিউজ কম্পিটিশোন।  নিচের পিকচার দেখুন।

জাস্ট  কপি পেস্ট টাইপিং এর জন্য প্রায় ৩৮ হাজার লোক বসে আছে।

আর এই কাজে কোনো প্রফিট আসবে না বলে মনে হয়।  আর এতে নিজের মেধার কোনো কাজ হয় না। পুরা রোবোটিক কাজ।

image

এর জন্য নিজের মেধা খাটানো যায় এমন কাজ শিখুন। যেমনঃ এন্ড্রোয়েড ডেভেলপিং। এতে ইউজ আয় করতে পারবে। তবে শর্ত টানা ১ অথবা ২ বছর ইনকামের চিন্তা বাদ দিয়ে কাজ শিখতে হবে। নিজের পিকচার দেখুন। জাস্ট একটা এপের জন্যই দিবে ৩০০ ডলার। পিকচারটা আমার ফাইভার একাউন্ট থেকে নেওয়া।

image

এর দাম বেশি কারণ এতে নিজের মেধা খাটানো লাগে। আমি এমনো দেখছি যে একটা এপ এর জন্য ক্লায়েন্ট হাজার ডলার পর্যন্ত বাজেট দেয়। আর ঐ বানাতে মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন টাইম লাগে।

সুতরাং কি করবেন ভেবে দেখুন।

সত্যি বলতে কি আমাদের আগে স্কিল ডেভেলপ করা উচিত। আপনি স্কিল ডেভেলপ করলে আপনার টাকা এমনি এমনি চলে আসবে। কিন্তু যদি আপনি স্কিল ডেভেলপ না করেন তাহলে আপনার টাকা আসতে পারে কিন্তু সেই ইনকামের সোর্স তেকসই হবে না। কারণ একটা উদাহরণ দেখেন-

ধরেন আপনি আসলেই কপি পেস্ট টাইপিং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেন। কাজ শুরু করার কিছু দিনের ভিতরই অর্ডার পেয়ে গেলেন। এখন আপনি অর্ডার পেলেন কয়েকশ ইমেজ থেকে টেক্সট কপি করার কাজ। আর এর জন্য আপনি পাবেন ৫ ডলার। এখন একটা হিসাব দেখেন।

আপনি ১০০ টা ইমেজ থেকে টেক্সট কপি করবেন। তার মানে আপনি যদি প্রতিটা ইমেজ থেকে টেক্সট কপি করে লিখতে ১ মিনিটও সময় লাগে তাহলে আপনার মোট সময় লাগবে ১০০ মিনিট। এর পর যদি ক্লায়েট ইন্ডিয়া বা পাকিস্তানের হয় তাহলে তো কোনো কথাই নাই। আপনার বার বার রিভিশন দিতে বলবে। যাই হোক আপনার এই ১০০ টা ইমেজের জন্য ধরলাম সময় লাগবে ২০০ মিনিট। আর এই ২০০ মিনিট কাজ করে আপনি পাবেন ৫ ডলার। এবার প্রশ্ন হল আপনি কি সত্যিই ৫ ডলার পাবেন? উত্তর হল না। কারণ ফাইভার আপনার কাছ থেকে ২০% ফি কেটে রাখবে । তার মানে আপনি পাবেন ৪ ডলার। এখন আপনি ৪ ডলার দিয়ে কি করবেন? ঐ ৪ ডলার আপনি উইথড্রো ও করতে পারবেন না। কারণ পেয়োনিয়ারে মিনিমাম পেমেন্ট ৫০ ডলার। আর বাংলা টাকায় ৪ ডলার মানে হল ৩৫০ টাকার মত। তার মানে হল আপনি কপি পেস্ট টাইপিং ফ্রিল্যান্সিং করে আপনার সময়গুলো নষ্ট করছেন।

এবার ধরেন আপনি যদি একজন এন্ড্রোয়েড ডেভেলপার হতেন তাইলে কি হত? তাহলে আপনার প্রতি ঘন্টার রেট হত ১০ ডলার এর বেশি। অথবা আপনি প্রতিটা কাজের জন্য পেতেন ৩০০ ডলার+ ।

সুতরাং আমি মনে করি নিজের স্কিল ডেভেলপ করাটাই যুক্তিসংগত।

কোনো প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন।



Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *