প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম pdf download


Loading...


প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম pdf download
প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম pdf download

নাম:- প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম pdf

লেখক:- মো মাহবুবুল হাসান। 

সাইজ:- 160MB

প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম pdf বইয়ের প্রথম কিছু অংশ :-   

ভূমিকা

মােঃ মাহবুবুল হাসান শান্ত এর প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম বইয়ের ভূমিকা লেখার ভার যখন আমাকে দেওয়া হলাে তখন আমি বেশ অবাক হই, কিন্তু প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম বইয়ের কনটেন্ট এর ব্যাপ্তি দেখে আরাে অনেক বেশি অবাক হই।

শান্তর বইয়ে UVa আর্কাইভ এর অনেক প্রবলেম ব্যবহার হয়েছে দেখে ভালা লাগলাে, কারণ এটা হয়তাে UVa সাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে। সেজন্য বইটির ইংরেজি অনুবাদেরও অপেক্ষায় থাকলাম।

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আমার দেখা সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক মনে হয় মনিরুল হাসান (তমাল)। কিন্তু আরেকটুতরুণ প্রজন্মের মধ্যে যদি খুঁজে দেখি তাহলে দুটোনামই মাথায়ে আসে-মােহাম্মদ মাহমুদুর রহমান এবং মােঃ মাহবুবুল হাসান শান্ত। 

মােটামুটি ভালাে শিক্ষক হলেই যে সবসময় ভালাে লেখক হয়না সেটা নিজেকে দিয়েই বুঝি কিন্তু শান্ত ার বুঝানাের ক্ষমতাকে বই এর মধ্যে আনতে পেরেছে ভালােভাবেই তাই এই বইটি তরুণ প্রজন্মর জন্য অনেক উপকারী হবে সন্দেহ নেই। 

আজকে কেবলই মনে হচ্ছে কেন আমার বয়স আরাে বিশ বছর কম হলাে না, তাহলে এই বই দেখে আরাে ভালােভাবে সবকিছু অনেক কম বয়সে শিখে ফেলতে পারতাম।

শান্তর প্রােগ্রামিং কনটেস্ট ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ। তবে তাকে প্রথম ভালাে ভাবে চিনি যখন “Dhaka Regional ২০০৫” এ শান্ত ও নাফি এরাগামী দল বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করে। ✔

“Lattice triangle” গণনার একটি সমস্যা সমাধান করে.তারা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে সেই প্রবলেমের স্রষ্টা ছিলাম আমি। ভিসা জটিলতার কারণে তাদের IOI এ অংশগ্রহন করা হয় নাই, নাহলে বাংলাদেশের IOI পদক অনেক আগেই আসতে পারত। 

শান্ত সম্ভবত এখনাে নানান কনটেস্টে অংশগ্রহন করে, তাই তার চেয়ে দীর্ঘ কনটেস্ট ক্যারিয়ার খুব কম লােকেরই আছে। তার উপর শান্তর রয়েছে সমস্যার সমাধান করার সীমাহীন উৎসাহ ও ধৈর্য। 

জনশ্রুতি রয়েছে যে শান্ত তার বিয়ের দিনও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছে। কাজেই এত দীর্ঘ ক্যারিয়ার ও সময়ে শান্ত কী পরিমান সমস্যা সমাধান করেছে তা আন্দাজ করাও অনেকের পক্ষে কঠিন হবে। এই বইয়ে তাই নানা ধরনের সমস্যা সমাধান এর কথা উঠে এসেছে। বাংলা ভাষায় এমন বই আগে প্রকাশিত হয়নি এমনকি ইংরেজিতে অনুদিত হলেও এই বই যথেষ্ট সমাদৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

সাধারণত দেশের বাইরে গিয়ে লােকজন প্রাগ্রামিং কনটেস্ট এবং প্রবলেমসেটিং কে ভুলে যায়, কিন্তু শান্ত এই দিক থেকে ব্যতিক্রম। এই বইয়ের পাঠক সংখ্যা কয়েক মিলিয়ন হলেই সেই ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা সফল হবে। সেইসব মিলিয়ন প্রাগ্রামার বাংলাদেশকে অনেক সম্মানিত করবে। ✔

মনে রাখতে হবে যে পােশাক ও শ্রমিক রফতানি করে বেদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হলেও সম্মনের জন্য প্রয়ােজন একটু সৃজনশীল কিছু। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও রােবটের উত্থানের যুগে, প্রােগ্রামিং ছাড়া অন্য কিছুতে মানুষের প্রয়ােজন থাকবে কিনা সেটাও ভাবা দরকার :)।

শাহরিয়ার মঞ্জুর,

সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসােসিয়েশন অব প্রবলেমসেটারস

জাজিং ডিরেক্টর, এসিএম আইসিপিসি ঢাকা রিজিওনাল ২০০৪-২০১৫

বিচারক, এসিএম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ২০০৩-২০১৬

এছাড়াও ২০০০ সাল থেকে ভ্যালাদলিদ অনলাইন জাজ (Valladolid Online Judge) এর সাথে জড়িত

প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম pdf অধ্যায় ১

প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতায় হাতেখড়ি ১.১ শুরুর কথা

প্রতিযােগিতা মানেই আনন্দ। আমরা ফুটবল দেখি, ক্রিকেট দেখি, টেনিস দেখি এরকম হরেক রকমের খেলা আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেখি।

রাত জেগে ঘুম হারাম করে দেখলেও কিন্তু আমরা.ক্লান্ত হই না, বরং খেলা শেষে আমরা হই হই করে আনন্দে মেতে উঠি বা কষ্টে কারও সঙ্গে কথা না বলে বিপক্ষ দলকে শাপশাপান্ত করতে থাকি। 

প্রােগ্রামিং সমস্যা সমাধানেও ঠিক একই রকম মজা। তুমি খেতে বসে দেখবে দ্রুত খাচ্ছ কারণ তুমি হাত ধুতে গিয়ে একটা সমস্যার সমাধান পেয়ে গেছ! অথবা দেখবে ক্লাসে তােমার টিচারের পড়নাের দিকে মন নেই, তুমি দিব্যি তােমার পাশের বন্ধুর সঙ্গে আগের রাতের কনটেস্টের প্রবলেম নিয়ে আলােচনা করছ। 

অথবা এও হতে পারে যে গভীর রাতে তুমি কম্পিউটারে আছাে, আর তােমার মা বকা দিতে দিতে এসে বলবে – “সারারাত গেম খেলা হচ্ছে না?” কিন্তু তােমার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলবে- “এসব কী করিস?”

আর তুমি হেসে বলবে- “কোডিং করছি, তুমি বুঝবে না, যাও ঘুমাও”। আসলে এই মজা যে পেয়েছে সেই শুধু বুঝবে আমি কী বলছি! হয়তাে এখন তুমি আমার কথা বিশ্বাস করবে না, কিন্তু এক সময় তুমি বুঝবে আমি কী বােঝাতে চাচ্ছি। 

তােমরা যেন সবাই সেই আনন্দটা পাও এই আশা নিয়েই শুরু হােক আমাদের প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতায় হাতেখড়ি। ১.২ প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতা কী?

তােমরা যদি মনে কর যে প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতায় বুঝি কোনাে একটি প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যে যত ভালাে পারে সে তত ভালাে করবে তাহলে জেনে রাখ তােমার এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।

আমরা কিন্তু সেই ছােট্টবেলাতেই 1, 2, 3, 4 শিখেছি; শিখেছি যােগ, বিয়ােগ, গুণ, ভাগ করা। কিন্তু এখানেই কিন্তু গণিতের শেষ হয়ে যায়নি। এর পরেও অনেক অনেক অনেক কিছু আমরা জেনেছি, শিখেছি। প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজও এখানে সেই 1, 2, 3, 4 এর মতাে।

আমরা গণিতে সংখ্যাগুলাকে যেমন এসব অন্ক দিয়ে প্রকাশ করে থাকি ঠিক তেমনি আমাদের প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতার সমস্যার.সমাধানগুলাে প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে প্রকাশ করে থাকি। এই ল্যাঙ্গুয়েজ আমাদের সমাধান প্রকাশের একটি মাধ্যমমাত্র। 

এটি এমন একটি মাধ্যম যা আমাদের কম্পিউটার বুঝে থাকে। তােমরা মনে করাে না যে কম্পিউটার নিজে নিজেই সব করে থাকে, আমি একটা সংখ্যা দিলে সে এমনি এমনিই বলে দেবে না যে সংখ্যাটা জোড় না বিজোড়।  

তােমাকে বলে দিতে হবে সে কীভাবে বুঝবে যে সংখ্যাটা জোড় না বিজোড়। সে যা পারে তা হচ্ছে অনেক দ্রুত হিসাব করা আর অনেক বড় বড় জিনিস মেমােরিতে মনে রাখা। তুমি তাকে বলে দিবে কীভাবে হিসাব করতে হবে, কখন কোথায় কী মনে রাখতে হবে। 

ব্যাস! সে চোখের পলকে তােমাকে সেই হিসাব করে দেবে। কোনাে ভুল সে করবে না। কিন্তু তুমি যদি ওকে বলতেত ভুল কর তাহলে কিন্তু সেটা তােমার দেোষ, ওর না। প্রােগ্রামিং.প্রতিযােগিতা হলাে তুমি ঠিক মতাে তােমার কম্পিউটারকে সমাধানের উপায় বলে দিতে পারছ কি না তার প্রতিযােগিতা। 

বিভিন্ন ধরনের প্রাগ্রামিং প্রতিযােগিতা আছে। কে কত ছােট প্রােগ্রাম লিখে সমস্যা সমাধান করতে পারে, কে কত সুন্দর করে লজিক দাঁড় করাতে পারে, কে কত efficient.সমাধান করতে পারে ইত্যাদি। আমরা এই বইয়ে যে প্রতিযােগিতা নিয়ে কথা বলব তা আমাদের কাছে ACM প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতা নামে পরিচিত।

এখানে দেখা হয় তােমার সমাধান কত দ্রুত একটা সমস্যার সমাধান করতে পারে, কত কম মেমরি নেয় বা এমনও হতে পারে যে তােমার হাতে মেমােরি অনেক কম আছে কিন্তু সময় অনেক বেশি, সুতরাং সেক্ষেত্রে তােমাকে হয়তাে মেমােরি কম, কিন্তু সময় বেশি ব্যবহার করতে হবে এরকম সমাধান বের করতে হবে।

অর্থাৎ তুমি কত দক্ষতার সঙ্গে তােমাকে দেওয়াসীমাবদ্ধতার মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে পারছ সেটাই দেখা হয় প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতায়।

বিশ্বে দুইটি বেশ বড় সড় প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতা আছে। একটি হলাে ACM ICPC World finals ta ica international Olympiad for Informatics O. ACM প্রােগ্রামিং এ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছেলেমেয়েরা অংশগ্রহণ করে থাকে। 

বিভিন্ন রকমের টপিক থেকে প্রবলেম আসে: সংখ্যাত্ত্ব (Number Theory), ক্যালকুলাস (Calculus), গ্রাফ থিওরী (Graph Theory), গেইম থিওরী (Game Theory), ডায়নামিক প্রােগ্রামিং (Dynamic Programming), সম্ভাব্যতা (Probability) ইত্যাদি। 

এখানে আসলে টপিকের সীমাবদ্ধতা নেই। এটি দলগত প্রতিযােগিতা। বিশ্বের প্রায় 100 টি দল বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর ACM ICPC World Finals এ অংশ গ্রহণ করে থাকে। এইসব দল নির্বাচন হয়ICPC এর মাধ্যমে যা প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে হয়ে থাকে। 

যেমন প্রতি বছর ঢাকাতে ICPC হয়ে থাকে এবং এতে যেই দল champion হয় তারা World finals এ যায়। অপর দিকে ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড এ স্কুল কলেজ লেভেলের ছেলেমেয়েরা অংশ নিয়ে থাকে। এটিতে একটি নির্দিষ্ট সিলেবাস থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে। 

যেমন সিলেবাসে calculus নেই। এর মানে এই না যে প্রবলেমগুলি সহজ হয় বরং এসব প্রতিযােগিতার সমস্যাগুলি অনেক বেশি algorithmic হয়ে থাকে। এটি individual প্রতিযােগিতা। প্রতিটি দেশ হতে চারজনের একটি দল অংশ নিয়ে থাকে। 

কনটেস্টের rank অনুসারে এখানে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রােঞ্জ পদক দেয়া হয়। তােমরা হয়তাে অনেকেই গণিত অলিম্পিয়াডের সাথে পরিচিত। গণিত অলিম্পিয়াডে যেমন গণিতের সমস্যা সমাধান করতে হয়, IOI তে তেমনি অ্যালগরিদমভিত্তিক সমস্যা সমাধান করতে হয়।

তাই আর দেরী না করে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম pdf download বইটি ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড বাটন এ ক্লিক করুন। 

প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম pdf download

Download

প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম pdf বইটির হার্ড কফি ক্রয় করুন।             

Rokomari.com | 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *